ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায়

ঢাকা: অতিমারির কারণে প্রযুক্তিগত বৈষম্য, শিক্ষা ও দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। নারীদের মধ্যে বিয়ের কারণে পড়াশোনা ছেড়েছে ৮ শতাংশ।

আর পরিবারকে সহায়তা করা করার জন্য ছেড়েছে ১৩ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে এটি ৩২ শতাংশ। দুই তৃতীয়াংশ ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।  
 
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ‘করোনার প্রভাবে এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্য ও শিক্ষা’ অনলাইন সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর।  

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে আর্থিক দুরবস্থায় পড়া পরিবারের ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা পরিবারের সহায়তা করতে গিয়ে পড়াশোনা ছেড়েছে। কারণ এসব পরিবারে আয় কমে গেছে ৮০ শতাংশের মতো।  

গ্রাম, দূরবর্তী অঞ্চলের পরিবার এবং গরিব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অনলাইনে ক্লাস কতটা নিশ্চিত করা গেছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে দাবি করেছেন ড. মাহফুজ কবীর।

সংলাপে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, সামাজিক সুরক্ষা ভাতাবঞ্চিত ৪৬ শতাংশ মানুষ। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অনেকে ভাতা পাচ্ছেন, যাদের পাওয়ার দরকার নেই।  

অনলাইন সংলাপটি জার্মানির ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমরা শিক্ষা ব্যয় বাড়ানোর কথা বলছি। শিক্ষা ব্যয় ৪ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলেছি। যেটি বর্তমানে ২ দশমিক ৬ শতাংশে আছে। আসলে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, শিক্ষা ব্যয় ৬ শতাংশে যাওয়া উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী বলেন, করোনায় একটা বড় ক্ষতি হলো, অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অনেকের কাজে চলে গেছে, অনেকের বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়? আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক জায়গায় বড় বড় প্রণোদনা দিয়েছেন। বেসরকারিভাবে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতেন, বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলোর জন্য প্রণোদনার কথা শুনিনি। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়? কারণ তারা তো সমাজকেই সেবা দিচ্ছিলেন।  

মূল প্রবেন্ধর ওপর আরও আলোচনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, রোগতত্ত্ববিদ ও মানিকগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত শর্মী, উন্নয়ন কর্মী তাহমিনা শিল্পী, প্রতীক যুব সংসদের নির্বাহী প্রধান সোহানুর রহমান।  

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) ও ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির। সঞ্চালনা করেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।