ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

বাগেরহাট: নাচ, গান, মোরগ লড়াই, বিস্কুট দৌড়সহ নানা আয়োজনে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে চরকুলিয়া রুপা চৌধুরী অটিজম ও প্রতিবন্ধী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার চরকুলিয়া বিদ্যালয় মাঠে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবলু মোল্লা।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দিল ফারজানা বিথীর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইলিয়াস সরদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষক মাহমুদা খানম, খাদিজা বেগম, লিপি খানম, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণ শেষে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবারও বিতরণ করা হয় সভাপতির পক্ষ থেকে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এমন আয়োজনে খুশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দিল ফারজানা বিথী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আমার নারী কাটা সন্তান না, কিন্তু তাদের আমি আমার সন্তানের থেকেও বেশি ভালবাসি। আমি তাদের নিয়ে ভাবি। তাদের উন্নয়ন ও ভালো পড়াশুনার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয়, এদের পরিচর্যা করা গেলে এরাও দেশের সম্পদ হতে পারে। আমরা ১০ বছর ধরে মোল্লাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পড়াশুনা করাচ্ছি। পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। তবে আমাদের বিদ্যালয়ের ৫৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর এখনও কোনো বেতন ভাতা হয়নি। শিক্ষক-কর্মচারীদের যদি বেতন-ভাতার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি আরও আন্তরিক হত।

কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবলু মোল্লা বলেন, স্বাভাবিক শিশুরা যেমন আমাদের সন্তান, প্রতিবন্ধী শিশুরাও আমাদের সন্তান। তাই অন্যান্য বিদ্যালয়ের মত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও সরকারি বেতন ভাতার আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এই জন প্রতিনিধি।

নারী উদ্যোক্তা দিল ফারজানা বিথী ২০১০ সালে মোল্লাহাট উপজেলার চরকুলিয়া গ্রামে চরকুলিয়া রুপা চৌধুরী অটিজম ও প্রতিবন্ধী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।