ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পতনেও ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১২৯৭ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
পতনেও ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১২৯৭ কোটি টাকা

ঢাকা: বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পতনে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমে যাওয়ায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে।

তবে সপ্তাহটিতে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১২৯৭ কোটি টাকার।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১ হাজার ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৪৭.৩৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৭ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ১৭০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫১ টাকার। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ২৮১ টাকা কম হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১২২৫ ও ২০৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৩৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৬ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির অবদান ছিল ৫৭ দশমিক দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ, ‘জেড’ ক্যাটাগরির দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরির ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ অবদান ছিল।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, ওয়ালটন হাইটেক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জাহোলসিম এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ টাকার। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৭ কোটি ৮ লাখ ৩৫১ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০.৬৬ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫০.৬০ পয়েন্টে।  

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির বা ৩০.০৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৮টির বা ৪৬.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৬৩টির বা ২৩.০৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।