ঢাকা: শিশুর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ১৪ বছর থেকে বাড়িয়ে ১৮ বছর করে জাতীয় শিশুনীতি ২০১০ এর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সার্বক্ষণিক কাজে ১৪ বছরের কম বয়সী কাউকে নিয়োগ না করার বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এ খসড়া নীতি প্রকাশ করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব তারিক-উল-ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
৫ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে এ খসড়া নীতি প্রণয়ন করা হয়। মূলনীতিগুলো হলো- সংবিধান ও আন্তর্জাতিক সনদের আলোকে শিশু অধিকার নিশ্চিত, দারিদ্র বিমোচন, শিশুর প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য দূর, শিশু অধিকার বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং শিশুদের জন্য গৃহীত প্রকল্পে শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
এসব নীতি বাস্তবায়নে ১২টি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচিও গ্রহণ করবে সরকার। কর্মসূচিগুলো হলো- শিশুর নিরাপদ জন্ম নিশ্চিত, দারিদ্র বিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, প্রতিবন্ধী শিশুর সুরক্ষা, আদিবাসী শিশুদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ ইত্যাদি।
খসড়া নীতি প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৪ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুনীতি যুগোপযোগী করে নতুন এ নীতি প্রণয়ন করা হলো। এ নীতি নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে সুপারিশ ও মতামত দেওয়া যাবে। আগামী অক্টোবরে এ খসড়া নীতি মন্ত্রিপরিষদ সভায় তোলা হবে। ’
ড. শিরিন শারমিন বলেন, ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ শিশুনীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করে। এরপর গত দুই বছরে ইউনিসেফের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৪টি মতবিনিময় সভা করে মন্ত্রণালয়। জাতীয় পর্যায়ে সর্বশেষ মতবিনিময় সভাটি হয় ঢাকায় বিয়াম মিলনায়তনে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০