ঢাকা: এশিয়ান হাইওয়ে চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশসহ চারটি দেশের মধ্য দিয়ে সড়কপথে গাড়ি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। এজন্য শোভাযাত্রার পথও নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১১ সালে অনুষ্ঠেয় ওই শোভাযাত্রায় গাড়িগুলো বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন ও মিয়ানমারের সড়কপথ অতিক্রম করবে।
জানা গেছে, চিনের কুনমিং শহর থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। মিয়ানমার হয়ে তা ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে সিলেট জেলার তামাবিল সীমান্তপথে। পরে তা যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বের হয়ে শেষ হবে ভারতের কোলকাতায়।
শোভাযাত্রা সফল করতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আর তা সফলে হলে এ পথই এশিয়ান হাইওয়েতে রূপ নিতে পারে। চলতি বছরই এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রেলভবন মিলনায়তনে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্মস কমিশনের মহাপরিচালক মি ডং সেং’র বৈঠকে শোভাযাত্রার পথ চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকে ১৬ সদস্যের চিনা প্রতিনিধি দল ছাড়াও যোগাযোগ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এ শোভাযাত্রার পথই এশিয়ান হাইওয়ে কি-না জানতে চাইলে যোগাযোগ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া মানেই দেশবাসী ও বাইরের লোকদের দেখানো যে এ রাস্তা চলাচলের উপযোগী। ’
এ শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ান হাইওয়ে চালু করা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে যোগাযোগ সচিব বলেন, ‘এটা তো স্বীকৃত ও অনুমোদিত পথ। এটা ছাড়া আর কোনো রাস্তাও নেই। হয়তো এখনও এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। সেটা অন্য জিনিস। ’
শোভাযাত্রায় কত টাকা ব্যয় হবে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক খান বলেন, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোন দেশ ক’টি গাড়ি নিবে, আমরা ক’টি গাড়ি দেব এবং শোভাযাত্রা বাস্তবায়নে কারা থাকবেন- এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০