কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আবাসিক হোটেলে এক মাদ্রাসাছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক সেনা সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে তিনজনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, যশোর সেনানিবাসে কর্মরত সেনাসদস্য শাহিন (২২) ও খেপুপাড়া নেছারউদ্দীন সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী খালেদা বেগম (১৮) সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কলাপাড়া পৌরশহরের আবাসিক হোটেল আরাফাতে ওঠেন। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ নারীকণ্ঠের আর্তচিৎকার শুনে হোটেল কর্মচারীরা তাদের কক্ষে ছুটে যায়। এ সময় তারা বিবস্ত্র অবস্থায় খালেদাকে উদ্ধার এবং শাহিনকে আটক করে।
খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার এসআই কমলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শাহীন ও খালেদাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে শাহিন পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের কাছিমখালী গ্রামের আবু হানিফ খানের পুত্র, যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সেনাসদস্য শাহিন দীর্ঘদিন ধরে খালেদাকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে খালেদার সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে বিয়ের কথা বলে শাহিন সোমবার বিকালে খালেদাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়।
খালেদা জানায়, হোটেলে নিয়ে শাহীন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এক পর্যায়ে শাহীন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
এদিকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সেনাসদস্য শাহিনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে কলাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক কমল বাংলানিউজকে জানান, থানায় নেওয়ার পথে শাহিন সটকে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ অভিযুক্ত সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০