ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মিয়ানমারের জমিতে চাষাবাদ: সিদ্ধান্ত শিগগিরই

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০
মিয়ানমারের জমিতে চাষাবাদ: সিদ্ধান্ত শিগগিরই

ঢাকা: ইজারার ভিত্তিতে মিয়ানমারের জমিতে চাষাবাদের ব্যাপারে শিগগির আলোর মুখ দেখার আশা করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের আসন্ন বাণিজ্য কমিশনের বৈঠকে এ ইস্যুতে ইতিবাচক অগ্রগতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন।



২০০৭ সালের মে মাসে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমি লিজ দিয়ে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন, ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বিষয়ে এবার আমরা ইতিবাচক ফল পেতে চাই। খুব শিগগির বিষয়টি যেন আলোর মুখ দেখতে পারে, সে ব্যাপারে এবারের বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

‘মিয়ানমারের জমি লিজ নেওয়ার ইস্যুতে আলোচনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে। ’

আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মিয়ানমার-বাংলাদেশ ৪র্থ যৌথ বাণিজ্য কমিশনের বৈঠক বসছে। এটি সমন্বয় করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের মে মাসে মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিতাওয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জমি ইজারা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী।  

কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ড. ইফতেখার ই-মেইলে বাংলানিউজকে জানান, মিয়ানমার বাংলাদেশকে রাখাইন প্রদেশের অন্তত ৫০ হাজার একর জমি লিজ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ওই জমিতে ধান, পেঁয়াজ, ভুট্টা, সয়াবিন, চা ও আখ চাষ করতে পারবে বলে মিয়ানমার তাদের প্রস্তাবে বলেছিল  ।

সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মিয়ানমারের কৃষি জমি লিজ নিয়ে থাইল্যান্ড ২০০৬ সালের আগস্ট থেকে  চাষাবাদ করছে।

ড. ইফতেখার আহমদ সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো হিসেবে অধ্যাপনা করছেন।

 ২০০৭ সালে মিয়ানমার এ প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে অগ্রগতি কেন হয়নি জানতে চাওয়া হলে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। প্রস্তাবিত জমি ও ওই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান দেখতে ২০০৮ এর মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের মিয়ানমার সফরে যাবার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় নার্গিস আঘাত হানায় প্রতিনিধিদলের সফরটি স্থগিত হয়ে যায়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।