বান্দরবান: বেকায়দায় পড়েছেন ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
একদিকে নির্ধারিত ভাড়ার দু’তিন গুণ টাকা দিলে হোটেল-মোটেলে জায়গা মিলছে তাদের।
জেলার শৈল প্রপাত, নীলাচল, শুভ্রনীলা, মেঘলা, ন্যাচারাল পার্ক, বৌদ্ধ জাদী, নীলগিরি ও চিম্বুকসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের পর থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এ সুযোগে লাগামহীন ভাড়া হাঁকছেন হোটেল মালিকরা।
বাংলানিউজের কাছে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ নেতা নুপুর দাশের অভিযোগ, ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা তার আত্মীয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে শহরের বান্দরবান প্লাজা।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা হায়দার আলীর অভিযোগ, দুপুর বারোটায় হোটেল ছাড়ার নিয়ম থাকলেও তাকে বের করে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে।
এ ধরনের ঘটনা এখন ঘটছে শহরের প্রায় সব হোটেলেই।
ল্যান্ডক্রুজার, জিপ আর ট্যাক্সি ভাড়াও এখন দ্বিগুন। শহর থেকে মেঘলা ও নীল আঁচলের ভাড়া ৫শ’ টাকা হলেও এখন হাজার টাকার নিচে যানবাহন পাওয়াই যাচ্ছে না। নীলগিরি পর্যন্ত জিপ ভাড়া ২৪শ’ টাকা হলেও এখন কমপক্ষে ৩৮শ’ টাকা ভাড়া হাঁকছেন চালকরা।
এছাড়া খাবারের দাম বেড়েছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে।
তারপরও পর্যটকদের পদচারণা থমকে নেই বান্দরবানে।
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের টিকেট বিক্রেতা মো. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে তিন দিনে প্রায় পাঁচ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০