ঢাকা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিচালিত কারাগার নির্মাণ ও পাসপোর্টের আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প ছাড়া বাকি ৩২টি প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকান্ডেরই কোনো গতি নেই। প্রকল্পগুলোর বিপরীতে গত জুলাই মাসে ৮৬ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রকল্প সমূহের কার্যক্রম খতিয়ে দেখাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে ৩২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৩৪টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর আওতায় পুলিশের যানবাহন কেনা, ১৪টি মডেল থানা ভবন নির্মাণ, ১২ জেলায় কারাগার নির্মাণ, পাসপোর্টের চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ রয়েছে।
অর্থ বরাদ্দের পর দুই মাস পার হলেও প্রকল্পগুলোর কাজই শুরু করা যায়নি বলে জানায় সূত্র।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সচিব (পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নির্মাণ কর্মকান্ড শুরুর নানা প্রক্রিয়া এরমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত শতকরা দুই ভাগ কাজ এগিয়েছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরোদমে কাজ চলবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপ-সচিব বলেন, কাশিমপুর ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ১২ জেলায় কারাগার নির্মানের কাজ চলতি বছরেই শেষ করা হবে। পাসপোর্টের চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মানের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারেও তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ৩৪ টি প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি না হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন আরো ৪২টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
পুলিশ রিফর্ম প্রকল্প, সারাদেশে ১৫৬টি ফায়ার স্টেশন স্থাপন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে সচল করাসহ নতুন ৪২ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪শ’ ৭৫ কোটি টাকা।
এসব প্রকল্প কাজও চলতি বছরের মধ্যেই শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় : ১৯৫০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০