ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের ট্রানজিট বাস্তবায়নের জন্য বাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর স্টেশনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছেন দু’দেশের রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গঙ্গাসাগর স্টেশন হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলস্টেশনের যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
পরিদর্শন দলের সদস্য পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান পরিচালন তত্ত্বাবধায়ক (সিওপিএস) শাহ জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চট্টগ্রামের আখাউড়া রেলস্টেশনের সঙ্গে ভারতের আগরতলা স্টেশনের সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু এ স্টেশনে থেকে যোগাযোগ স্থাপন করতে হলে অনেক বসতি, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো উচ্ছেদ করতে হতো। তাই আখাউড়া স্টেশন থেকে মাত্র চার কিলোমিটার আগের স্টেশন গঙ্গাসাগরকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেলের কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
গত ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের চার এবং ভারতের পক্ষে দুই কর্মকর্তা সম্ভাব্য বিকল্প স্থান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন দলে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন তত্ত্বাবধায়ক শাহ জহিরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ইউসুফ আলী মৃধা, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান এবং চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার চন্দন কান্তি দাশ।
ভারতের পক্ষে ছিলেন নর্থ-ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলের (এনইএফআর) উপ-প্রধান প্রকৌশলী এমভি প্রসাদ এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানির (ইরকন) মহাব্যবস্থাপক যোগেশ কুমার মিশ্র।
দুই দেশের যৌথ এ দল সিলেটের শাহবাজপুর, বাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আজমপুর এবং গঙ্গাসাগরসহ বেশ কয়েকটি স্টেশন পরিদর্শন করে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগরতলা-আখাউড়া পথে ভারতকে রেলপথে ট্রানজিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সম্প্রতি কাজ শুরু করেছেন দুই দেশের রেলের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০