ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামীর কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামীর কারাদণ্ড

বরিশাল: বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামী মো. ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন আসামীর অনুপস্থিতে এই রায় ঘোষণা করেন।  

রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদউদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মধ্যেই এই অর্থ পরিশোধ করবেন। না হলে পিডিআর আইনে আসামীর সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।  

গত ২২ মার্চ বরিশালে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ওই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় এটি।  

দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন মল্লিক বাডি জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর  দুপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যায় ফরিদ উদ্দিন। পরদিন ফারজানাকে খুলনা নিয়ে পতিতালয়ের মিন্টু সর্দারের কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে যান তিনি।

প্রায় ২ মাস পর ১০ ডিসেম্বর খবর পেয়ে ফারজানার বাবা ও শ্বশুর খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই পতিতালয়ে গিয়ে ফারজানাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সর্দার মিন্টু ও সর্দারনী হোসনেয়ারাকে গ্রেফতার করে।  

এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ফারজানার বাবা আবুল কারাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্বামী ফরিদউদ্দিন এবং পতিতালয়ের দুই সর্দার ও সর্দারনী মিন্টু ও হোসনেয়ারাকে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

পতিতালয়ের দুই সর্দার ও সর্দারনীকে অব্যাহতি দিয়ে স্বামী ফরিদউদ্দিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।  

পরে ট্রাইব্যুনালে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার একমাত্র আসামী ও ভিকটিমের স্বামী ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে উপরোক্ত দণ্ডাদেশ দেন।  

রায় ঘোষণার সময় আসামী অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী এবং সাঁজা পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।