ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেনানিবাসে ৪ ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করলেন সেনা প্রধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
সেনানিবাসে ৪ ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করলেন সেনা প্রধান সেনানিবাসে ৪ ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করলেন সেনা প্রধান

কক্সবাজার: নবগঠিত রামু সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠার আরেকটি ধাপ হিসেবে চারটি  ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ১০ পদাতিক ডিভিশন রামু সেনানিবাসে এ অনুষ্ঠান হয়।

পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। অনুষ্ঠান স্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহমদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান।

এরপর প্যারেড কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করেন এবং সেনা প্রধানকে সালাম দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টেশন সদর দপ্তর রামু স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানি রামু, সিএমএইচ রামু এবং ১০ ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়েছিল। এসময় তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব মুক্তিযোদ্ধাকে।

এসময় সেনা প্রধান কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেন।

সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

এছাড়া, উপস্থিত সেনা সদস্যদের র্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনা সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে পেশাদারিত্বের ঈপ্সিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন উপলক্ষে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।  অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার অঞ্চলের চারটি ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন রূপকল্প পোর্সেস গোল ২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো। এ ডিভিশন সব প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে সফলভাবে নিয়োজিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এসবি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।