ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বান্দরবানে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
বান্দরবানে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন

বান্দরবান: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। বান্দরবানে মারমা, চাকমা, বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আশ্বীনি পূর্ণিমার পর থেকে মাসব্যাপী এই কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে থাকেন।

 

রোববার (২৯ নভেম্বর) বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহাবৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বিহারগুলোতে শেষ দিনের মতো দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন হচ্ছে।  

সকালে বোমাং সার্কেলের রাজা উচপ্রুসহ দায়ক-দায়িকারা শোভাযাত্রার মাধ্যমে বান্দরবান শহর প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহাবৌদ্ধ বিহারে এসে সমবেত হয়।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষ, বোমাং সার্কেলের রাজা উচপ্রু, রাজকুমার চহ্লাপ্রু জিমি, রাজকুমার মংওয়ে প্রুসহ বিভিন্ন বিহারের উপাসক-উপাসিকা ও দায়ক-দায়িকারা।

এরপর পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশে চীবর দান করা হয়, দুপুরে ভিক্ষু সংঘকে ছোয়াই দান করা হয়।  

বিকেলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পুনরায় বিহারে সমবেত হয়ে মহা সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, ধর্ম দেশনা শ্রবণ, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে চীবর দানোৎসবের ইতি টানেন।  

আগামী ৩০ নভেম্বর ভিক্ষু সংঘের মহাপিন্ড দান ও বিকেলে ধর্ম দেশনার মাধ্যমে বান্দরবানে মাসব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের এই কঠিন চীবরদানের সমাপ্তি ঘটবে।

প্রসঙ্গত, মহাকারণিক গৌতম বুদ্ধের আমলে মহাপূর্ণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী প্রথম কঠিন ব্রত নিয়ে এই চীবর দান করেছিলেন, সে থেকেই প্রতিবছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই পূর্ণ অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।