ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকার সব খাল যাচ্ছে সিটি করপোরেশনের অধীনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
ঢাকার সব খাল যাচ্ছে সিটি করপোরেশনের অধীনে

ঢাকা: ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সব খাল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, এখন সিটি করপোরেশন কীভাবে কাজ করবে তাদের সক্ষমতা যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সেই কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে, সেই রিপোর্টের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এ লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।  

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ।

তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক সময় খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতেই ছিল। পরে কোনো এক সময়ে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেটা ঢাকা ওয়াসার হাতে দেওয়া হয়। এখন আমাদের দু’জন মেয়র। তারা খালের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘কাজটা ওয়াসা করুক সেটা আমি রিকমেন্ড করি না। ওয়াসার চেয়ে সিটি করপোরেশন কাজটা ভালো করতে পারবে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে ওয়াসার কিছু সক্ষমতা অর্জন হয়েছে। সিটি করপোরেশনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হলে সেই সক্ষমতাও সিটি করপোরেশনের কাছে নেওয়া উচিত। ’

তাজুল ইসলাম বলেন, আমি আগেও বলেছি সিটি করপোরেশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশনের জন্য দায়বদ্ধ। কিন্তু রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওয়াসার উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দুই সিটির মেয়র চান তারা এটি করলে এটি ভালো করতে পারবেন। ড্রেনেজ সিস্টেমটা সিটি করপোরেশনকে দিতে একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি। এ বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য একটি কমিটিও করেছি, পানিসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইব্রাহীমকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিস্ট একটি কমিটি করা হয়েছে।  

রাস্তা খোঁড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেসব আধুনিক শহর গড়ে উঠেছে সেগুলো করার সময় ইউটিলিটিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে হয় এবং সময় সময় ক্যাপাসিটির জন্য পরিবর্তনও করতে হয়। এ কাজটা করার জন্য তারা ডাকটিং করেছে, কিন্তু ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে ডাকটিং করা হয়নি। এটার সত্যিকার ম্যাপ খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর। পানির লাইন কোথা দিয়ে গেছে কেউ জানে না। যে কারণে এই সমস্যায় আমাদের পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মেয়রসহ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কীভাবে এগোতে পারি। নতুন যে শহরগুলো গড়ে উঠছে সেগুলোতে ডাকটিং ফ্যাসিলিটি থাকবে। তবে যেগুলো হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে তো কিছু করার নেই, ফলে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য জনবল, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছুই সিটি করপোরেশনের কাছে আছে, তাদের সক্ষমতা আছে। আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা আছে। কিছু বক্স কালভার্ট করা হয়েছে, এগুলো ২০/৩০ বছর সংস্কার করেনি, ফলে পুরোটাই অকার্যকর হয়ে গেছে। তার ভিতরে মিলিয়ন মিলিয়ন টন বর্জ্য জমা হয়ে এখন সেটা অকার্যকর। সেটা কীভাবে করা যাবে তা নিয়ে কারিগরি টিম পর্যালোচনা করবেন যাতে একটা সময়ের ব্যবধানে যেন হস্তান্তর করতে পারি।

‘আগেও সিটি করপোরেশনের কাছে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিষ্কাশনের দায়িত্ব নিতে চিঠি লিখেছে ওয়াসা, কিন্তু তখন তারা আগ্রহ দেখায়নি। নতুন মেয়ররা এসে এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে আমাদের দেরি হচ্ছে করোনার কারণে, কিন্তু ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে ঝুলে থাকার জন্য না তাড়াতাড়ি করার জন্য। নইলে তো তিনমাস দেওয়া হতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।