ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডোপ টেস্টে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
ডোপ টেস্টে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ  ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ব্যাপকভাবে সব পর্যায়ে ডোপ টেস্ট চালু করতে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু।

রোববার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে ডোপ টেস্ট- এই মুহূর্তে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রস্তাবনার কথা জানান।

শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ককাস এবং সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর আয়োজন করে।

শামসুল হক টুকু বলেন, ডোপ টেস্টের জন্য বিএসটিআইর আদলে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গড়তে সম্প্রতি এক সংসদীয় কমিটির মিটিংয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বিএসটিআই যেমন যে কোনো সময় যে কোনো পণ্য যাচাই করতে কোনো বাজারে ঢুকে যেতে পারে, তেমনি ওই প্রতিষ্ঠানটিও ডোপ টেস্টের জন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিডিটিআই) বা বাংলাদেশ ড্রাগ ইউজার্স টেস্টিং অথোরিটি (বিডিইউটিও) বা অন্য যে কোনো নামে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করা যেতে পারে।

‘ইতোমধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ডোপ টেস্ট চলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্টের কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী গাড়ি চালকদের এর আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেছেন। সার্বিকভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানেও ডোপ টেস্ট চালু করা গেলে আমরা জাতিকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারবো। ’

মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও আমাদের দেশের তরুণরা মাদকের ভয়াল ছোবলে আক্রান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না। নতুন প্রজন্মকে সুস্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে আমরা সবাই সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।

সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ রোধ করতে সংশ্লিষ্ট বাহিনী তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি মাদকের চাহিদা হ্রাস করতে পারলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। এজন্য মাদকসেবীদের শনাক্ত করতে ব্যাপক পরিসরে ডোপ টেস্ট চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ’

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার, স্কাসের চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।