ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েই উন্নত দেশ গড়তে হবে’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
‘সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েই উন্নত দেশ গড়তে হবে’ 

ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতি, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনাকে নষ্ট করে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ সৃষ্টি করতে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সুবিধাবাদী দল।

তারা ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে খেলা করে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীতে শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমন দেশ স্বাধীন করেছে, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণ করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক প্রধানমন্ত্রী এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে না পারলে এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজেদের নাগরিক অধিকারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন যা রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে।

ধর্ম যার যার উৎসব সবার উল্লেখ করে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য সব ধর্মেই স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার দর্শন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মানুষ। সবার অধিকার আছে একটি দেশে নিজেদের ধর্ম পালন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পূর্ণ নাগরিক অধিকার এবং আত্মসম্মান নিয়ে বসবাস করার। বঙ্গবন্ধু এদেশের সব স্তরের মানুষকে সংগঠিত করে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। কাউকে ধরে এনে রেডিও টেলিভিশনে ঘোষণা দিলেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়া যায় না বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ১৯৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রামের পর জাতির পিতা একটি আসাম্প্রদায়িক চেতনার  দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। তারই সুযোগ‍্য কন্যা  জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার  মডেল। হিন্দু মুসলিম-বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহমর্মিতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০ 
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।