সিলেট: সিলেটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের পাঁচ ঘণ্টা পর ট্রেন দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর সোয়া ৫ ঘণ্টা বিলম্বে বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছাড়ে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ডক ইয়ার্ডে ওয়াসপিটে একই লাইনে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি ঢুকে যাওয়ায় (সাইড কোয়ালিশনে) দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাহাড়িকার দু’টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পাহাড়িকা ও ১১টা ১৫ মিনিটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২টায় ট্রেন উদ্ধারে কাজ শুরু হয়। ফলে বিলম্বে ট্রেন দু’টি গন্তব্যের উদ্দেশে সিলেট ছেড়ে যায়।
দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রকৌশলী ও যান্ত্রিক প্রকৌশলী।
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়িকা ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে পয়েন্ট ম্যানের ভুলের কারণে হতে পারে। হয়তো তিনি সঠিক মতো লাইন দিতে পারেনি।
লোক স্বল্পতার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পয়েন্ট সেট না করে, নাকি চালক সিগ্যনাল ভুল করেছেন। সেটি খতিয়ে দেখে খুব শিগগিরই প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল দেওয়া ছিল। তা অমান্য করা হয়েছে। মানুষের ভুলে (হিউম্যান মিসটেক) এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে রেলওয়ের চারটি ইউনিটের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
** সিলেটে পাহাড়িকা-জয়ন্তিকার সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল ব্যাহত
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এনইউ/আরআইএস