ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ১২ নেতার জামিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ১২ নেতার জামিন পুলিশের সঙ্গে বাম জোট ও পাটকল শ্রমিকদের সংঘর্ষের ফাইল ছবি

খুলনা: খুলনায় গ্রেফতার হওয়া পাটকল শ্রমিক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের ১২ নেতা জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত, যশোরের জেজেআই জুট মিলের সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশিদ, মহানগর সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শ্রমিক রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, শামসের আলম, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিক নওশের আলী, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন।

সিপিবির নগর সাধারণ সম্পাদক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী বাবুল হাওলাদার বলেন, মামলার ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য দুই জনের একজন পলাতক রয়েছেন আর অন্যজন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন।

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদা বলেন, ১৪ জনের ১২ জনের জামিন হয়েছে। শ্রমিক নওশের আলী পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর মোজাম্মেল হোসেন খান পলাতক রয়েছেন।

গত ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পুনরায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু, শ্রমিকদের সব বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে আটরা শিল্প এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ নামের একটি সংগঠন। ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন শত শত পাটকল শ্রমিক। কর্মসূচি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে পুলিশ বেশ কয়েকজন বাম ঘরানার রাজনৈতিক নেতা ও শ্রমিককে সেখান থেকে আটক করে।

এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খানজাহান আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান। পর দিন এজাহারভুক্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। মামলায় জনগণের জানমালের ক্ষতি, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad