ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে’

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে এখন থেকেই তামাকের ব্যবহার কমানোর জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য দরকার শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তার কঠোর বাস্তবায়ন।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু দুর্বলতা থাকার কারণে তামাক ব্যবহার হ্রাসে এটি অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে।  
 
বুধবার (২৮ অক্টোবর) তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ যে কাজ অব্যাহত রেখেছে তাতে আমি আশাবাদী। তামাকের ন্যায় বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করি। বিশেষ করে করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে জনস্বাস্থ্য,পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখার স্বার্থেই তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সঙ্গে প্রজ্ঞাসহ অন্যান্য সংগঠন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো অতি দ্রুত বিবেচনা করা এখন সময়ের দাবি। ’

তিনি আরও বলেন, যে কোন আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর যেমন অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ভর করে, ঠিক তেমনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সময়োচিত সংশোধন ও সংযোজন করে তা কঠোরভাবে প্রয়োগের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
 
মত বিনিময়ের সময় প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয় যেমন, গণপরিবহন ও রেস্তোঁরায় শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রি নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি এবং প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের জন্য সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রমিত মোড়ক প্রচলন করা সর্ম্পকে আলোকপাত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
এমআইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।