ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেঘনার পাড়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ

| মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
মেঘনার পাড়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ

চাঁদপুর: ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মতলব উত্তর ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শত শত অসাধু জেলে প্রকাশ্যে মেঘনায় ইলিশ ধরে নদীর পাড়ে এনে বিক্রি করছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নদীর উপরিভাগে কোনো ধরনের টহল ও চেকপোস্ট না থাকায় প্রকেশ্য লোকজন ব্যাগ ও বস্তা ভর্তি করে ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালপুর বাজারের উত্তর পাশে মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় শত শত নৌকা ইলিশ ধরে নিয়ে আসছে এবং বিক্রি করে চলে যাচ্ছে।

স্থানীয় নিবন্ধিত জেলে শাহাবুদ্দিন দর্জি ও জিয়া উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিবন্ধিত জেলে। নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকি। কিন্তু লালপুর বাজারের নদীর পাড়ে প্রতিদিন মেঘনার পশ্চিম পাড়ের লক্ষ্মীরচর, রাজরাজেশ্বর ও আলু বাজার এলাকার জেলেরা মাছ শিকার করে এখানে এনে বিক্রি করে। প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় নেতাদের মার খেতে হয়। বরং আমরা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থেকে ২০ কেজি চালের পরিবর্তে পেয়েছি ১০ কেজি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক লালপুর গ্রামের একজন বয়স্ক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় নেতারা প্রত্যেক জেলে থেকে ২২ দিন মাছ বিক্রির জন্য ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছেন। যে কারণে প্রশাসনের লোকজন কখন অভিযানে নাম তার খোঁজ খবর রেখে ইলিশ বিক্রি করছে।  

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় ৫১ হাজার জেলে। এরমধ্যে কিছু জেলে রয়েছে অসাধু। যারা মা ইলিশ নিধন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের ইলিশ শিকার থেকে বিরত রাখতে আমাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত। এ বছর মা ইলিশ প্রজনন রক্ষায় নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, নৌ-পুলিশ সকলেই খুবই আন্তরিক হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে নৌ-পুলিশ বড় ধরনের হামলারও শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।