ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গণধোলাইয়ে যুবকের মৃত্যু: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
গণধোলাইয়ে যুবকের মৃত্যু: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা গণধোলাইয়ের প্রতীকী চিত্র

ঢাকা: রাজধানীর দারুসসালামে এক যুবক গণধোলাইয়ের শিকার হওয়ার পর হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার ভোরে মিরপুর দারুসসালাম বিজিবি মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় জীবন হোসেন (২০) নামে ওই যুবককে গণধোলাই দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এরপর অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা করা হয়।

রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে এই বিষয়ে কথা হয় দারুসসালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফার সঙ্গে।

তিনি জানান, শনিবার ভোরে দারুসসালাম বিজিবি মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় গণধোলাইয়ে প্রথমে আহত হন জীবন হোসেন। পরে স্থানীয় লোকজন জীবন হোসেনকে একটি রিকশায় তুলে দেয়। ওই রিকশাচালক সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় জীবনের বাসার সামনে নিয়ে যায়। তখন তার পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা গতকাল দিনগত রাত ১০টায় দিকে সংবাদ পেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। আমরা জানতে পেরেছি ওই যুবক গণধোলাইয়ে প্রথমে আহত হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে মৃতদেহের সুরতহাল করার সময় তার পায়ে একটি ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। শনিবার দিনগত রাতে নিহত জীবনের বাবা নিজে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই, অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা হয়েছে।

নিহতের পরিবারের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি তেমন কিছুই করতেন না। গত এক-দেড় মাস আগে জীবন বাড়ি চলে যান। পরে দুই-তিনদিন আগে তিনি ফের ঢাকায় আসেন। কখনো তিনি মোটর মেকানিক কখনো বা বাসের হেলপারের কাজ করতেন। ওই দিন ভোরে কেন, কারা তাকে মারধর করেছে, পরিবার কিছুই জানাতে পারেনি। মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদি কারোর নাম বেরিয়ে আসে সেই মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করা হবে। তদন্ত করা হচ্ছে।

নিহতের বাবার নাম আক্তার হোসেন। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে তাদের বাড়ি। সর্বশেষ আদাবর সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় থাকতেন জীবন।

এদিকে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, বাদি আমাদের জানিয়েছেন ছিনতাইকারী সন্দেহে জীবনকে মারধর করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। একটি হত্যা মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এজেডএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।