ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

ঢাকা: করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ পুরোদমে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আশা করা যাচ্ছে প্রথম দিক থেকেই আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
 
আর ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশের কাছে চীন কিছু টাকা চাইবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।


 
রোববার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হলে এ তথ্য জানানো হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।
 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এটাও পর্যালোচনা করা হয়েছে কোথা থেকে ভ্যাকসিন পেতে পারি। এটা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ফুল ফেজে জারি আছে। আশা করি আমরা প্রথম দিক থেকে আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
 
চীন করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ফেজে ট্রায়াল চালাতে চাইলেও তা আর এগোয়নি।
 
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা ওটা নিয়ে কাজ করছে। সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে অ্যাফোর্ড বিরাজমান।
 
চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আটকে আছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, না আটকে নেই। আমরা তো তাদের পারমিশন দিয়ে রেখেছি। তাদের ফান্ডিংয়ের একটা সর্টেজ আছে, সেজন্য ওটা নিয়ে তারা আলোচনা করছে। বাংলাদেশের কাছে সম্ভবত অ্যাপ্রোচ করবে যে বাংলাদেশ থেকে কিছু ফান্ডিং করা যায় কিনা।
 
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমি ডেট বলতে পারবো না। তবে সেটা খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।
 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায় থেকে ইন্টারন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস রেসপন্স প্ল্যান ফর কোভিড-১৯ প্রণয়ন করেছিল। বর্তমানে ৯৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৫০টি বেসরকারি।  

প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা করোনা হ্যান্ডেল করার ক্ষেত্রে বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউট সোর্সিংয়োর মধ্যে দুই হাজার ৬৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে।
 
‘দেশের ৬৪ জেলায় পাঁচ হাজার ১০০ ডাক্তার এবং এক হাজার ৭০০ নার্সকে আইডিসিআরের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ম্যানেজমেন্ট ও ইনফেকশন প্রিভেনশনাল কন্ট্রোল বিষয়ে অরিয়েন্টশন দেওয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে তারা করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। ’
 
তিনি জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে কাজ মনিটর করেছে এবং চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কারিগরি কমিটি টেকনিক্যাল কার্যক্রম মনিটরিং করেছে।
 
জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধামন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
 
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটা এবার আলোচিত হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
 
প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও একটি শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের অবদান বর্ণনা করেন এবং বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাধিকার বিষয়গুলো বিশেষ করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেন, যা উদয়ীমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
 
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পরিষদে সম্মিলিত ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেরে অঙ্গীকার এবং বিশ্বের নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে যে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তা খুবই প্রসংশিত হয়েছে। এবারের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।
 
***‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।