ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় আমিনুল ইসলাম বাদশা গণ গ্রন্থাগার উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
পাবনায় আমিনুল ইসলাম বাদশা গণ গ্রন্থাগার উদ্বোধন আমিনুল ইসলাম বাদশা গণ গ্রন্থাগার। ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা: পাবনায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বাদশার স্মরণে গণ গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়েছে।  

শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের পুরাতন বোর্ড ঘর এলাকায় এ গ্রন্থাগার উদ্বোধন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও আমিনুল ইসলাম বাদশার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আমিনুল ইসলাম বাদশার ছেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাবিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, হেমায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন, জেলা ওয়ার্র্কাস পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।

...উদ্বোধনী বক্তব্যে গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, আমিনুল ইসলাম বাদশার সমগ্র জীবন ইতিহাসের অনন্য অধ্যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সাধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবনের ১৪টি বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন। নির্মম নির্যাতনে গুলিবিদ্ধ হয়েও নীতি, আদর্শ থেকে একবিন্দু সরে যাননি। গ্রন্থাগার থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করে, নতুন প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমিনুল ইসলাম বাদশার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে।

অন্যান্য বক্তারা এ সময় ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে আমিনুল ইসলাম বাদশার অবদান স্মরণ করে যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে সন্তানদের পাঠাগারমুখী করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে পাঠাগারের দেয়ালে স্থাপিত ভাষা সংগ্রামী আমিনুল ইসলাম বাদশার মুর‌্যাল উন্মোচন করার পর গ্রন্থাগারের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন অতিথিরা।

১৯২৯ সালে পাবনার কৃষ্ণপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমিনুল ইসলাম বাদশা। পাবনা জিসিআই স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন জড়িয়ে পড়েন কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে। বাংলা ভাষার দাবিতে ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আহুত হরতালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম গ্রেফতার হওয়া ভাষা সংগ্রামী ছিলেন আমিনুল ইসলাম বাদশা। ১৯৫০ সালের খাপড়া ওয়ার্ড আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ বিপ্লবী বাদশা মহান মুক্তিযুদ্ধে পাবনায় গঠিত স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের সাত সদস্য বিশিষ্ট হাইকমান্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।  

আমিনুল ইসলাম বাদশার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।