ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৃহস্পতিবারের মধ্যে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার হতে পারে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
বৃহস্পতিবারের মধ্যে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার হতে পারে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রত্যাহার হবে বলে আশা করছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

খোরাকি ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে বৃহস্পতিবার।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের মূল দাবি খোরাকি ভাতা। এটা অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এ দাবির ব্যাপারে আমরা সবাই বগত আছি। তারা নৌযানে যে কাজ করে, সেখানে তাদের এ ভাতাটা ন্যায্য।

তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে তারা আরও দুইবার ধর্মঘটে গিয়েছিল এবং আলোচনা করে আমরা সমাধান করেছি। আমরা নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বিআইডব্লিটিএ থেকে মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং আলোচনা এখনো চলছে। আশা করি আজকের মধ্যে এর সমাধান হয়ে যাবে।

শ্রমিকদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল বলে মালিকদের পক্ষ থেকে যে দাবি তোলা হচ্ছে, তা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকরা তো খুব অসহায়। শ্রম দিয়ে উপার্জন করে। তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের শ্রমিক বলছি, তাদের তো সন্ত্রাসী বলা যায় না। তারা তাদের অধিকারের জন্য সরব, সেটা কীভাবে সমন্বয় করা যায় আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সেটাই চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা মনে করি এটার সমন্বয় আজকের মধ্যে হয়তো হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার সব সমন্বয় করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই, মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে, আমরা সেই জায়গাটায় কাজ করছি।

ধর্মঘটে পণ্য খালাসে জট তৈরি হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধান হয়ে গেলেই হয়ে যাবে। সরকারের সেই সক্ষমতা আছে।

ভারতীয় নতুন হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু কার্যক্রম চলছে। সে বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মোংলা ও পায়রা বন্দর, আশুগঞ্জে তাদের প্রজেক্ট আছে। আমরা সোনামুড়া বন্দর ট্রায়াল করলাম, সে ব্যাপারে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো কীভাবে অতিক্রম করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। ইছামতি নদী ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে কথা হয়েছে। পদ্মায় নতুন যে বন্দর নিয়ে আমরা ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিয়েছি, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের যে সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা আমরা কন্টিনিউ করতে চাই, শক্তিশালী করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।