ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৬ মণ কয়েন নিয়ে বিপাকে খবির

জয়ন্ত জোয়াদ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
৬ মণ কয়েন নিয়ে বিপাকে খবির ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে পড়া খাইরুল ইসলাম খবির। ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবির (৪৫) প্রায় ছয় মণ ওজনের ৬০ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা (কয়েন) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

জানা যায়, মহম্মদপুর সদরে গত ২৫ বছর ধরে সবজির ব্যবসা করেন খাইরুল ইসলাম খবির।

গত ১০ বছরে ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া ২৫-৫০ পয়সা থেকে শুরু করে ১-২ টাকার কয়েন জমে এখন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তিনি ক্রেতার কাছ থেকে মুদ্রাগুলো নিলেও তার কাছ থেকে এখন আর কেউ নিচ্ছেন না। ফলে অচল হয়ে যাওয়া যাওয়া বিভিন্ন অঙ্কের এই ৬ মণ ওজনের মুদ্রা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

সবজি ব্যবসায়ী খাইরুলের বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে। যখন সবজির দাম হিসেবে এসব মুদ্রা তিনি নিয়েছেন, তখন বুঝতে পারেননি একরকম অচল হয়ে এসব জমে যাবে।

ব্যবসায়ী খাইরুল বাংলানিউজকে বলেন, অনেক দরিদ্র মানুষ ও ভিক্ষুকেরা কয়েন দিয়ে সবজি কিনেছেন। আমি মুখের উপর তাদের না বলতে পারিনি। তাদের ফিরিয়ে দিতে পারিনি। অনেক জায়গায় ঘুরেও কয়েনগুলো চালাতে পারিনি। কোনো ব্যাংকও এই বিপুল পয়সা আর নিতে চায় না।

এখন খাইরুলের ছোট্ট বসত ঘরে প্লাস্টিকের বড় চারটি বালতি আর দুই বস্তা বোঝাই শুধু কয়েন আর আর কয়েন। একসময় কয়েনগুলো বাজারে রাখলেও এখন বাড়িতে এনে রেখেছেন।

আক্ষেপ করে খবির বলেন, ব্যবসার পুঁজির তিনের দুই ভাগই এখন কয়েনের মধ্যে আটকে আছে। দুই ছেলে-মেয়ে স্ত্রীসহ চার সদস্যের পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। যদি এই কয়েনগুলোর বিনিময় মূল্য দিতো তাহলে আমার অনেক উপকার হতো।

মহম্মদপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, খবিরের কয়েন নিয়ে বিপাকে থাকার বিষয়টি আমরা জানি। লেনদেনে ধাতব মুদ্রার ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। তারপরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

মাগুরা সোনালী ব্যাংকের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) রশিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
পিএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।