ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: দেলোয়ার কারাগারে, রিমান্ডে সুমন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: দেলোয়ার কারাগারে, রিমান্ডে সুমন ছবি: বাংলানিউজ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মূল হোতা দেলোয়ার হোসেনকে পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

এ ঘটনায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সামছুদ্দিন সুমনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক এ আদেশ দেন।

অপরদিকে, একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে। এর মধ্যে সামছুদ্দিন সুমনের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

এছাড়া ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতরকৃত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা দু’টি মামলা ছাড়াও ধর্ষণ এবং আগের দুই মামলা - একটি হত্যা ও অন্যটি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
 
অপরদিকে, গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য সোহাগ আদালতে জামিন চাইলে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। তবে তার জামিনের বিরোধিতা করেন জেলার সিনিয়র আইনজীবীরা। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সে দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। এরপর ওই নারী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কিছুদিন বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখেন তারা। একপর্যায়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ওই পরিবার। ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার (৪ অক্টোবর) সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এরপর বিষয়টি নজরে এলে রোববার রাতেই নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই রাতেই ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত মূল হোতা দেলোয়ারসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন রয়েছেন। পুলিশি তদন্তে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসায় দেলোয়ারসহ বাকি পাঁচজনকে এ দুই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad