ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে রাজশাহীতে চালু হচ্ছে নৌবন্দর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে রাজশাহীতে চালু হচ্ছে নৌবন্দর

রাজশাহী: ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে রাজশাহীতে একটি নৌবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে পদ্মানদী হয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া করা হবে।

শিগগিরই এই পথে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্যের চালান যাবে।

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক গোদাগাড়ীর সাম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন।  

সোমবার (১২ অক্টোবর) তিনি গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন।  

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ পদ্মানদীর এই নৌপথে বাণিজ্য চালুর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই পরীক্ষামূলক চালান পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। এখন চলছে নৌপথটির অবকাঠামো পর্যালোচনা।

এই নৌপথটি চালু হলে ভারতের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ আরো সহজ হবে।  

এদিকে রাজশাহী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটারের একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও তা কার্যকর নেই। এখন নতুন পথটি সংক্ষিপ্ত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্য চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এই পথের দূরত্ব মাত্র ১৮ কিলোমিটার। অনেকটা আড়াআড়িভাবে পদ্মানদী পাড়ি দেবে পণ্যবাহী নৌযান।  

শুষ্ক মৌসুমে প্রতি নৌযানে ২০০-৩০০ টন পণ্য পরিবহন করা যাবে। আর বর্ষা মৌসুমে নাব্যতা বেশি থাকলেও প্রমত্তা পদ্মায় স্রোত বেশি থাকে। তখন অবশ্য পণ্য পরিবহন কিছুটা কঠিন হবে। ইতোমধ্যে গোদাগাড়ী এলাকায় একটি শুল্ক কার্যালয় চালুর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্পে মুর্শিদাবাদের ‘পাকুর পাথর’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি বেশ উন্নতমানের পাথর। এখন সড়কপথে পাথর আমদানি করতে খরচ বেশি পড়ছে। গোদাগাড়ী-মায়া নৌপথটি মূলত পাকুর পাথর আমদানিতে বেশি ব্যবহার হবে।

নদীপথ পরিদর্শন শেষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে নৌপথ চালু করলে দুই দেশই উপকৃত হবে। আজ আমরা নদীর নাব্যতাসহ সবকিছু দেখে গেলাম। খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এক মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই নৌপথ চালু করতে চাই।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহিদুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির।  

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।