ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রচার কার্যক্রমে আসছে ভিন্নমাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রচার কার্যক্রমে আসছে ভিন্নমাত্রা

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রচার কার্যক্রমে ভিন্নমাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যে সব কর্মসূচি আমরা নিয়েছিলাম তার অনেকগুলোই করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় সাত মাস স্থগিত ছিল।

তাই বাকি সময়টুকুর মধ্যে দেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা বাস্তবসম্মতভাবে কী কী করতে পারি সেটি পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপ-কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

এসময় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, তথ্যসচিব কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ শেষ হতে যাচ্ছে। আবার আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ ৫০তম বার্ষিকী। এই প্রেক্ষাপট নিয়েও আমরা আলোচনা শুরু করেছি। বিশ্ব মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যে সব অনুষ্ঠান জনসমাগম না করেও করা যায় এবং অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যেমন আমরা অনেকগুলো প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিকল্পনা করেছিলাম। সেগুলোর নির্মাণকাজ অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাকি সময়ের মধ্যে আমরা সেগুলো কীভাবে সম্পন্ন করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

‘করোনা ভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের অনেক প্রোগ্রাম সীমিত ও স্থগিত করেছেন। বহুদিন ধরে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানমালার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশের মানুষকে যথাসম্ভব মুক্ত রাখার চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন, অন্য অনেক অনুষ্ঠানও বাতিল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে ক’টি দেশে সবচেয়ে কম বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। ’ 

ড. হাছান বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী এবছর করোনার মধ্যে পৃথিবী যখন স্তব্ধ, যেখানে বেশিরভাগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক সামিয়া হালিম, একাত্তর টেলিভিশনের মোজ্জাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাাদিক নাঈমুল ইসলাম খানসহ  উপকমিটির সদস্যরা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।