ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে শিগগিরই চালু হবে এয়ার বাবল

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে শিগগিরই চালু হবে এয়ার বাবল ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আকাশ পথে যোগাযোগে চালু হচ্ছে এয়ার বাবল।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুই দেশের মধ্যে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারত এয়ার বাবল ফ্লাইট চলাচল শুরু করতে চায়। এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হবে। চুক্তির অধীনে নির্দিষ্ট শর্তে সমান সংখ্যক যাত্রী দুই দেশে প্লেনে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে যাত্রীরা ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারলেও তৃতীয় কোনো দেশে যেতে পারবেন না।

এয়ার বাবল ব্যবস্থায় ভারত থেকে যে যাত্রী বাংলাদেশে আসবেন তিনি শুধু বাংলাদেশেই থাকবেন। আর যিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন তিনি শুধু ভারতেই থাকবেন। কূটনীতিকদের পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ী ও রোগী— এ দুই ক্যাটাগরির যাত্রীরা ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

জেসিসি বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্লে চলাচলে এয়ার বাবল চালু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এটা দ্রুত চালু করতে চাই। এটা নিয়ে আমরা কাজও করছি। কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

ড. মোমেন আরো বলেন, সড়ক পথে যেন বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীরা ভারতে যেতে পারে, সে বিষয়ে অনুরোধ করেছি আমরা। ভিসা সহজ করার জন্যও বলেছি। কারণ, বাংলাদেশ থেকে সড়ক পথেই বেশি লোক যান, অনেকে চিকিৎসার জন্যও যান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জেসিসি বৈঠকে করোনা মহামারিতে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ সচল রাখার জন্য পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী এয়ার বাবল চালু করা হবে। এয়ার বাবলের আওতায় কোন কোন রুট চালু করা যেতে পারে, সেটাও পর্যালোচনা করা হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গত ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে সফরে এলে দুই দেশের মধ্যে এয়ার বাবল চালু করার প্রস্তাব দেন। তারপর থেকেই উভয় পক্ষ এটা চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে। ভারত ইতোমধ্যেই ১৪টি দেশের সাথে এয়ার বাবল চালুর লক্ষ্যে সমঝোতা সই করেছে। বাংলাদেশের সাথেও ভারত এটা চালু করতে আগ্রহী।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় জেসিসি বৈঠক শুরু হয়। এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। এবারের বৈঠকটি হয় ভার্চ্যুয়ালি। এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এবারের ৬ষ্ঠ জেসিসি বৈঠকে দুই দেশের সহযোগিতার সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ভারতের ক্রেডিট লাইন, প্রতিরক্ষা, কানেক্টিভিটি, নিরাপত্তা, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়।

এর আগে দুই দেশের মধ্যে কখনো ভার্চ্যুয়ালি জেসিসি বৈঠক হয়নি। করোনা ভাইরাসের কারণে এই প্রথম জেসিসি বৈঠক ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হলো। জেসিসির ৫ম বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।