ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘দুর্যোগে আক্রান্তদের মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
‘দুর্যোগে আক্রান্তদের মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে’ চারা বিতরণ করছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।

নারায়ণগঞ্জ: ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ও হাত ঘন ঘন স্যানিটাইজ করতে হবে। চিকিৎসকদের উৎসাহ দিতে হবে।

প্রথমদিকে তারা বিভিন্ন কারণে ভেঙে পড়েছিলেন। তাদের ভেঙে পড়ার কারণে আমাদের প্রথমদিকে অনেক ক্ষতিও হয়েছিলো। মহামারি এই দুর্যোগে প্রথমদিকে তারাই ফ্রন্টলাইনে ছিল। দুর্যোগে আক্রান্তদের মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে। ’

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক প্রচার প্রেসব্রিফিং ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।  

সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।  

জেলা প্রশাসক বলেন, স্বেচ্ছাসেবক টিম এহসান পরিবারের মাধ্যমে আমরা করোনারোগীদের মধ্যে প্রথমদিকে ১০ লাখ টাকা বিতরণ করেছি। যেসব পরিবার মাস্ক কেনার ক্ষমতা নেই আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেসব পরিবারে মাস্ক বিতরণ করবো। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের জন্য প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা হয়তো সামনের দিকে আর সব জায়গায় লক ডাউন দিতে পারবো না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রবাসীদের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক রয়েছে। যেখানে প্রবাসীরা কেউ টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার শিকার হলে কিংবা নির্যাতনের শিকার হলে আমাদের কাছে সহায়তা নিতে পারে।

এছাড়া সেমিনারে হংকং প্রবাসী কুতুবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেফালী ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বন্দরের বাসিন্দা রিপন মিয়া তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলেন ধরেন।

হংকং প্রবাসী কুতুবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেফালী জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি কুমিল্লার টিটিসির মাধ্যমে হংকং যান। বিদেশে যেতে প্রথম যেটি জানতে হবে সেটি হচ্ছে ভাষা। এরপর জানতে হবে কাজ। ভাষা ও কাজ জানা থাকলে শ্রমিকদের কোনো সমস্যা পড়তে হবে না। তিনি হংকংয়ে গিয়ে কাজ করে তার ছেলেকে পুলিশ প্রশাসনে এবং মেয়েকে আইনজীবী বানিয়েছেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী রিপন মিয়া জানান, তিনি ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে যেতে গিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের নানা সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ফতুল্লা মডেল থানার কোনো সদস্য দ্বারা বিড়ম্বনার শিকার হলে তাকে জানাতে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ফতুল্লা মডেল থানায় কোনো টাকা লাগবে না।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন প্রবাসীরা। তাই তাদেরকে স্যালুট জানাই। তবে আমাদের প্রবাস গমনেচ্ছুরা যাতে দালাল চক্রের খপ্পড়ে না পড়ে সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।  

সেমিনারে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব ও বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।