বরিশাল: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম বলেছেন, কিছুদিন আগে আমি ভোলা গিয়েছিলাম। ইলিশা থেকে চরফ্যাশন পুরো এলাকা ঘুরে এসেছি, নদী ভাঙন দেখেছি।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় ও দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরায় আম্পানে বিপু পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সেখানে আমরা চারটি প্রকল্প নিয়েছি, তিনটি প্রকল্পের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আর পোল্ডার নম্বর-৫ এ একটি প্রকল্প আমাদের মন্ত্রণালয়ে রয়েছে, যেটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। প্রকল্পগুলো পাস হয়ে কাজ শেষ হলে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজনের দুর্যোগের ঝুঁকি কমে আসবে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে বিশ্ব ব্যাংকের ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। ১৩৯টি পোল্ডারের কাজ করার কথা ছিলো কিন্তু সেখান থেকে ১০টির কাজ হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন জায়গাতে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই অর্থে কাজ শেষ হবে না।
বাঁধ উচু করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ৬০ এর দশকে যে বাঁধগুলো উপকূলীয় অঞ্চলে দেওয়া হয়েছিলো, সেগুলো জোয়ার-ভাটা প্রতিরোধ করার জন্য। কিন্তু এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে। যেগুলোর পরিমাণ ৬-৭ মিটারে গিয়ে দাঁড়ায়। এগুলোর জন্য নতুন করে সমীক্ষা করা হচ্ছে। বাঁধগুলো এমনভাবে উঁচু করা হবে, যাতে পানি গ্রামের ভেতরে ঢুকতে না পারে।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাঁধের ওপর কেউ ঘরবাড়ি করবেন না। ঘরবাড়ি করলে সেখানে ইঁদুরের বাসা হয়, তখন ইঁদুরের গর্তের কারণে বাঁধগুলো দুর্বল হয়ে যায়, ফলে জোয়ার-ভাটা ও বন্যার সময় সেগুলো প্লাবিত হয় এবং ভেঙে যায়। এছাড়া জনগণকে আহ্বান জানাবো নদী থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বালু তুলতে দেবেন না। অবৈধভাবে বালু তুললে যতো শক্তিশালী বাঁধই আমরা করি না কেন তা টেকসই হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমএস/এনটি