বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির ১০০ মণ চাল ও দরিদ্রদের নামে ২৩০টি সুবিধাভোগীর ভুয়া কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধুনট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রনী অভিযান চালিয়ে চাল ও কার্ডগুলো জব্দ করেন।
জানা যায়, ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী গ্রামের ‘মেসার্স তিন ভাই ট্রেডার্স অ্যান্ড সেমি অটোরাইচ মিল’ থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল সন্দেহে ১০০ মণ চাল জব্দ করা হয়। উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলী ওই রাইচ মিলের মালিক। সেই সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ ওই গ্রামের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। তার বিক্রয় কেন্দ্র থেকে দরিদ্রদের নামে ২৩০টি সুবিধাভোগীর ভুয়া কার্ড জব্দ করা হয়।
ধুনট উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির (১০টাকা কেজি চাল) চালের ডিলার। তার আওতায় ৭১০ জন দরিদ্র মানুষ ১০ টাকা কেজি করে চাল ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ৭১০ জন দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি ধুনট খাদ্য গুদাম থেকে ২১ হাজার ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করেছেন। ওই চাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিক্রি করছিলেন। এদিকে সোমবার দুপুরে তার বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়। এসময় ৭১০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ভূয়া হিসেবে ২৩০টি কার্ড জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের অদূরে মেসার্স তিন ভাই ট্রেডার্স অ্যান্ড সেমি অটোরাইচ মিলের গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ওই গুদামে থাকা ১০ টাকা কেজি মূল্যের সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সন্দেহে ১০০ মণ চাল জব্দ করা হয়।
ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রনী বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জনৈক নবাব আলীর তিন ভাই ট্রেডার্স নামের একটি রাইচ মিলের গুদাম থেকে ১০ টাকা কেজির চাল সন্দেহে ১০০ মণ চাল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আব্দুল হামিদ নামের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারের কাছ থেকে ২৩০টি ভুয়া কার্ড জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
কেইউএ/এনটি