ঢাকা: একটি রেস্টেুরেন্টের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইংলিশ স্পোকেন ও আইইএলটিএস প্রশিক্ষণ সেন্টার ‘শাফিন’স এর প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা শেখ বুলবুল আহমেদ শাফিনের বিরুদ্ধে ভুয়া যৌন হয়রানির মামলা করে একটি মহল। অথচ মামলার এজাহারে যে সময় উল্লেখ করা হয় তখন দেশেই ছিলেন না শাফিন।
এ মামলার বাদি নারী সাদিয়া আফরিনের কোনো অস্তিত্বই খুঁজে না পাওয়ায় আদালত মামলা থেকে শাফিনকে অব্যাহতি দেন। ব্যবসায়িক ক্ষতি, ইমেজ নষ্ট এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন শাফিন।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া শাফিন নিজেই।
সংবাদ সম্মেলনে শাফিন বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে ইংলিশ স্পোকেন ও আইইএলটিএস প্রশিক্ষণ সেন্টার ‘শাফিন’স-এর মাধ্যেমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পেশাজীবীদের ইংরেজি ভাষা শিখিয়ে আসছি। কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি গত পাঁচ বছর ধরে নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইনে ফ্রি ইংলিশ শেখানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিনামূল্যে ইংরেজি ভাষা শিখতে পারছেন।
ইউটিউব চ্যানেলটি দেশের শীর্ষ চ্যানেলে পরিণত হয়, চ্যানিলটিতে সাবসক্রাইবার ৬ লাখেরও বেশি। আমার ব্যবসায়িক সাফল্য ও জনপ্রিয়তা একটি কুচক্রী মহলের চোখ পড়ে। গত বছর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সুপের মধ্যে ব্যাটারি পাওয়া নিয়ে ঘটে যাওয়া একটি তুচ্ছ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ওই ঘটনার পরই একটি মহল আমার ব্যবসায়িক ক্ষতি ও সম্মানহানীর জন্য নানা তৎপরতা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের জুলাইয়ে আমার কোচিং সেন্টারের ছাত্রী পরিচয়ে এক তরুণী যৌন হয়রানির মামলা করেন। যা ইতোমধ্যেই আদালতে ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
সাদিয়া আরফিন নামক ওই তরুণী বাদী হয়ে মিরপুর পল্লবী থানায় গত বছরের ১০ জুলাই মামলা দায়ের করে। যে মামলার চার্জশিট নম্বর ১২০ যা ০২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আদালতে পাঠানো হয়।
শাফিনের দাবি, কুচক্রি মহলটি ওই তরুণীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা ওই তরুণীকে দিয়ে একটি চ্যানেলের সহযোগিতা নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই আমাকে অপরাধী করে সংবাদ পরিবেশন করে যা আমার ইমেজকে আরও ক্ষুন্ন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শাফিন অভিযোগ করে বলেন, যৌন হয়রানির মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার সম্মানহানির পাশাপাশি ব্যবসায়ীক ক্ষতি করা হয়েছে। এ মিথ্যা মামলা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত এবং এখনো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা কুৎসা রাটাচ্ছেন তারা। এ কুচক্রী মহলের বিচার দাবি করি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
ইএআর/এনটি
