হবিগঞ্জ: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার আরেক আসামী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫) র্যাবের হাতে আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হবিগঞ্জ জেলা শহরের অনন্তপুর এলাকা থেকে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত আটটায় র্যাবের একটি দল তাকে আটক করে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত রনির আপন মামা ও চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে জানান, আনন্তপুর এলাকার একজন অ্যাডভোকেটের বাসায় রনি র্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করেছে।
জানা গেছে, রনি এমসি কলেজে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের অনিয়মিত ছাত্র। থাকতেন ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের ২৫০ নম্বর কক্ষে। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে তার দাপট ছিল নিজ এলাকা হবিগঞ্জে। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা রয়েছে। এলাকায় কোনো সভা-সমাবেশ হলেই উপস্থিত থাকতেন। পারিবারিকভাবে তার বাবা-চাচাদের সঙ্গে আশেপাশের কারো ঝগড়া বিবাদ লাগলে তিনি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করতেন।
এর আগে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে এইচএসসি পাশ করে শাবিপ্রবিতে অনার্স শেষে এমসি কলেজে স্নাতকোত্তর করছেন রনি। তার পিতা ও অন্য দুই ভাই সহজ সরল প্রকৃতির হলেও তিনি এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।
দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি গত শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেট কারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড় কেন্দ্রীক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এমএইচএম