খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে ডাকাতিকালে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রামে একাধিক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে গণধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে ওই নারীকে এনে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে জেলা শহরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় ডাকাতদল শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে পাশের রুমে নিয়ে ডাকাতরা ধর্ষণ করে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির আলমারি, ওয়ারড্রপ ঘেঁটে তিন ভরি স্বর্ণ, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে বাইরে থেকে বাড়ির খিল লাগিয়ে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বাড়ির গৃহকর্তীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ও ডাকাতির দুইটি মামলা করেছেন ওই গৃহকর্তী। মামলায় ৮/৯ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে জানান, মামলায় আমাদের সন্তোষজনক অগ্রগতি রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এডি/এএটি