ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধকালীন সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধকালীন সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধকালীন সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যপরিষদ।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐক্যপরিষদের খুলনার সম্বয়ক রুহুল আমিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২ জুলাই এই মহামারি করোনার মধ্যে সরকার একযোগে বাংলাদেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা সরকারি পাটকলের লোকসানকে যুক্তি হিসেবে হাজির করেছে। দেখানো হয়েছে, সরকারি পাটকলে বিগত ৪৪ বছরে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এ লোকসানের বোঝা আর বইতে পারবে না। সে কারণে এটাকে লোকসানের হাত থেকে বের করে এনে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্দেশ্য থেকে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

বন্ধ করার সময় সরকার তথা পাট মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে যে, মিলসমূহকে আধুনিকায়ন করে অতিদ্রুত তথা তিন মাসের মধ্যে চালু করা হবে এবং সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব ধরনের বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধ করা হবে। অথচ এই ঘোষণার কোনো বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের মানুষ যখন করোনা ভাইরাসের ভয়ে আতংকিত, কর্মসংস্থান হারিয়ে লাখ লাখ কর্মক্ষম মানুষ ঘরে বসে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে, ঠিক তখনই সরকার আকস্মিকভাবে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল একযোগে বন্ধ করে দিয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযুক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও শ্রমিকদের স্বার্থ পরিপন্থি।

একটিবারের জন্যও সেদিনকার মহামারি পরিস্থিতিতে শ্রমিক ও তার পরিবারের অবস্থার কথা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। সরকার একতরফাভাবে কোনো আলোচনা ছাড়াই এক নোটিশে বেকার করে দিল ৫৭ হাজার ১৯১ জন (স্থায়ী- ২৪,৮৮৬ জন, বদলি- ২৩,৮৪২ জন ও দৈনিক ভিত্তিক- ৮,৪৬৩ জন) শ্রমিককে।

রাষ্ট্রীয় জুটমিলগুলো ব্যবসায়ীদের হাতে সোর্পদ না করে অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে চালু করে আধুনিকায়নের দাবি জানিয়ে তারা আরও বলেছেন, ২৫টি মিলকে অনতিবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে চালু এবং তার সঙ্গে যুক্ত সব শ্রমিকদের পাওনা এককালীন পরিশোধের দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় ক্রিসেন্ট গেট চত্বর, বিআইডিসি রোডে এক শ্রমিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যপরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।