ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন দাবি ওয়েবিনার

ঢাকা: চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে তামাক কোম্পানিগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর), লবিং, অনুদান ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারসহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ ও তামাক কোম্পানি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার এ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রজ্ঞার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে করোনা সংক্রমণ সহায়কপণ্য হিসেবে চিহ্নিত করলেও দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানি করোনা মহামারির মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় অব্যাহত রাখার জন্য অনুমতিপত্র আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির নামে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান, ব্রান্ড ইমেজ প্রচারের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে লাইভ টকশোতে অংশ নেওয়া, করোনায় ধূমপায়ীদের ক্ষতি কম এ জাতীয় ভ্রান্ত তথ্য প্রচার ইত্যাদি অব্যাহত রেখেছে কোম্পানিগুলো। তরুণ সমাজকে টার্গেট করে ভ্যাপিং ব্যবসায়ীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে তরুণদের ভ্যাপিং পণ্যে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

ওয়েবিনারে অংশ নেওয়া তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকায় সরকারের নীতিপ্রণেতাদের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নীতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে থাকে। অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তামাক কোম্পানির সব সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে ই-সিগারেটসহ সব ভ্যাপিং এবং হিটেড তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের বাংলাদেশ কান্ট্রি অ্যাডভাইজার মো. শফিকুল ইসলাম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর মুখ্য পরামর্শক ড. মো. শরিফুল আলম, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) সাবেক সমন্বয়কারী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. রুমানা হক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, দি ইউনিয়ন এর কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আহ্বায়ক ফরিদা আক্তার, ঢাকা আহছানিয়া মিশন এর হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) এর টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রাম টিম লিডার মোহাম্মদ শামিমুল ইসলাম, ভয়েস এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি এর নির্বাহী পরিচালক একেএম মাকসুদ এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

এছাড়াও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এর প্রতিনিধিসহ ওয়েবিনারে অংশ নেয় তামাকবিরোধী সংগঠন প্রত্যাশা, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), এইড ফাউন্ডেশন, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ডেভেলপমেন্ট অ্যাকটিভিটিজ অফ সোসাইটি (ডিএএস), ইপসা ও ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো (উফাত)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
টিআর/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।