ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রামেকে ফের রোগীকে লাঞ্ছিত করলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
রামেকে ফের রোগীকে লাঞ্ছিত করলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

রাজশাহী: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত হওয়ার পর এবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. মামুন-অর-রশীদ। তিনি রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক। কিডনিজনিত সমস্যায় সকালে তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ, সকালে ওয়ার্ডে বিছানা পরিবর্তন করা নিয়ে শিক্ষক মামুনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক নার্স। দুপুরে চিকিৎসকদের একটি দল ওয়ার্ড পরিদর্শনে আসে। এ সময় মামুন তার এক চিকিৎসক বন্ধুর পরিচয় দেওয়ায় চিকিৎসক দলটির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় চিকিৎসক দলের প্রধান মামুনকে গালিগালাজ করেন ও নাম-পরিচয় লিখে নিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।  

এর কিছুক্ষণ পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের তিন জন আনসারকে নিয়ে এসে শিক্ষক মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে চিকিৎসককে হুমকি ও নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে শিক্ষক মামুনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে চলে যান তারা। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান শিক্ষক মামুন।

জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কেউই এখনো অভিযোগ করেনি। আমি কয়েকজনের কাছে বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর রামেক হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় তাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মারধর করা হয় মুক্তিযোদ্ধাকেও। এ নিয়ে আন্দোলনে নামেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা। মাঠে নামে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদও। পরে ওই মুক্তিযোদ্ধা দুই ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর জেলা প্রশাসক উভয়পক্ষের মীমাংসা করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।