ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা: ‘হিডেন হিরো’ উপাধি পেলেন ঝিনাইগাতীর মোশারফ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
করোনা: ‘হিডেন হিরো’ উপাধি পেলেন ঝিনাইগাতীর মোশারফ মোশারফ হোসাইন

শেরপুর: করোনা ভাইরাস ও শিশুদের নিয়ে নানা কাজ করে ‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন হিরো’ উপাধি পেয়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মোশারফ হোসাইন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’ তাকে এ উপাধিতে ভূষিত করে।

 

মোশারফ উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অর্নাস (সম্মান) প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং দ্যা ডেইলি স্টার যৌথ উদ্যোগে ‘হিডেন হিরো মোশারফ হেল্পস দ্যা স্নেক চ্যাম্বার কমিউনিটি শিরোনামে
ডেইলি স্টারের সংবাদ মাধ্যম এবং অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার জন্য দেশের ২০ জনকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন হিরো’ উপাধি দিয়েছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। তাদের প্রকাশিত সপ্তম প্রতিবেদনে মোশারফের নাম ঘোষণা করা হয়।
...
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ তখনও দেশে ছাড়িয়ে পড়েনি, কিন্তু ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্ক মানুষের মধ্যে, প্রান্তিক জনপদের বেদে পল্লীর মানুষ যখন জানে না করোনা মোকাবিলার হাতিয়ার কী? তখন একটি বেসরকারি সংস্থা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামের বেদে পল্লীতে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে দেড় শতাধিক পরিবারের মধ্যে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন মোশারফ। একই সঙ্গে বেদে পল্লীতে ঘরে ঘরে সরকারি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, হেল্প লাইনের নম্বর সম্বলিত স্টিকার, সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার নিয়ম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সম্পর্কে অবগত করেন। মোশারফের কার্যক্রম বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর নজরে আসে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের। পরে মোশারফের কার্যক্রমগুলো যাচাইয়ের পর ‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন হিরো’ উপাধি দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’।  

শিশু অধিকার ভিক্তিক শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের জন্য তার লেখা দু’টি বইও প্রকাশ পেয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।  

মোশারফ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১০ সাল থেকে ডেফলাই গ্রামের বেদে পল্লীতে স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন শতাধিক পরিবার। এখানে তাদের সন্তানদের শিক্ষার কোনো মাধ্যম নেই। বেদে পল্লীর মানুষ অশিক্ষিত থাকা মানে উপজেলায় সাক্ষরতার হার কমে যাওয়া। বেদে পল্লীর মানুষজনও আমাদের সমাজেরই অংশ, তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যদি বেদে পল্লীকে পেছনে ফেলি তাহলে আমাদের সমাজও পিছিয়ে যাবে। তাই ওই শিশুদের উন্নয়নে কাজ করতে আমার ভালো লাগে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।