ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হাসপাতালগুলো ডাকাতির মতো করে টাকা নিচ্ছে: আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
হাসপাতালগুলো ডাকাতির মতো করে টাকা নিচ্ছে: আতিক অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সারাদেশের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা বর্জ্য নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় আনার জন্য অভিযানের অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অভিযানের কোনো বিকল্প নেই।

চিকিৎসার বর্জ্য একটা সিস্টেমে যাচ্ছে না। অথচ হাসপাতালগুলো মানুষের কাছ থেকে ডাকাতির মতো করে পয়সা নিচ্ছে।

যে হাসপাতালগুলো আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনেক বড়লোক হচ্ছে, কিন্তু তারা তাদের নিয়ম মেনে চলছে না, তাদের একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে বলেও জানান মেয়র আতিক।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকাসহ নগরবাসীর জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সারাদেশে চিকিৎসা বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন/পৌরসভাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যার যার বর্জ্য কবে থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে, তা বলে দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। আজকের মিটিং থেকে ডেট নির্দিষ্ট করে দিন। আমি দেখেছি সরকারি হাসপাতালে পেছনে খোলা জায়গায় তাদের বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে, এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালই যদি করে আমি তো অন্যান্য হাসপাতালের কথা বললাম না, উনারা পোড়ান না আবার। উনারা লুকিয়ে লুকিয়ে কখন যে অজান্তে কোন খালে-বিলে ফেলে দেয়, তাও কিন্তু আমরা জানি না।

অভিযান চালানোর একটি তারিখ দেওয়ার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি মনে করি অভিযানের কোনো বিকল্প নেই। যে হাসপাতালগুলো আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা অনেক বড়লোক হচ্ছে, ভালো কথা, কিন্তু তারা তাদের নিয়ম মেনে চলছে না, তাদের একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে। সবকিছুই কিন্তু অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের লাইন অবৈধ, ইলেকট্রিক লাইন অবৈধ, বিলবোর্ড অবৈধ, সাইনবোর্ড অবৈধ, রাস্তার মধ্যে যত ধরনের রড, সিমেন্ট, বালি সবই অবৈধ। কিন্তু এই অবৈধ কিন্তু আর দেওয়া যাবে না মাননীয় মন্ত্রী। তাই আজকের মিটিং থেকে একটা মেসেজ দেওয়া দরকার, যারা অবৈধভাবে একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছে, তাদের জন্য মেসেজ।

কয়েকদিন আগে অবৈধ বিলবোর্ড উদ্ধারে অভিযানে নামার পর এখন অনেকেই বিলবোর্ডের বিল দিতে চাচ্ছে জানিয়ে আতিক বলেন, আমার মনে হয় এ রকম একটা সমন্বিতভাবে অভিযান দারকার। যারা রাস্তায় কোনো ধরনের মেডিক্যাল বর্জ্য, ইট ইজ এ কিলার। মেডিক্যাল বর্জ্যটা সাইলেন্ট কিলার, আমাদের কিল করে দিচ্ছে কিন্তু। বর্জ্যগুলোকে কোন জায়গায় ফেলব, কোথায় রাখব, এসব শৃঙ্খলার মধ্যে আনা দরকার।

সারাদেশের চিকিৎসা বর্জ্য নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে উত্তর সিটি মেয়র বলেন, চিকিৎসার বর্জ্য যে সিস্টেমে যাচ্ছে, হাসপাতালগুলো যেভাবে মানুষ থেকে ডাকাতির মতো করে পয়সা নিচ্ছে। হাসপাতালে ঢোকার আগে পয়সা দিতে হচ্ছে। হাসপাতালে ঢোকার আগে জমিজমা বেচে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করছে, অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করছে হাসপাতালগুলোতে। অত্যন্ত ব্যয়বহুলভাবে বিভিন্ন চেকআপের বিল। অনেক বেশি। আপনি একটা চেকআপ করতে দেন, ইউরিন চেকআপ করেন, ব্লাড চেকআপ করেন, কথায় কথায় চেকআপ হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তাদের হাসপাতালের যে বিল এটি সম্পূর্ণ একটি ডাকাকির মতো। এটি হতে পারে না।

তিনি বলেন, তারা বিল নেবে কিন্তু তারা তাদের বর্জ্যগুলো কি ঠিকমতো ফেলছে? তারা তাদের বর্জ্যগুলো ঠিকমত ফেলছে না, এটি মনিটরিং করা হচ্ছে না। যত্রতত্রভাবে তারা তাদের বর্জ্যগুলোকে, আমি নিজে দেখেছি, আমার কাছে ছবি আছে যে বিভিন্ন ক্লিনিং হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট করার পরে ইউরিন, ব্লাড, স্ট্রুলের স্যাম্পল রাস্তার ওপর ফেলে দিয়েছে, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এটিই হলো বাস্তবতা। তাই ক্লিয়ার মেসেজ দেওয়া দরকার, কোনো ধরনের বর্জ্য রাস্তায় তো ফেলার প্রশ্নই ওঠে না…। আইনকেও তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এই প্রকল্প নিয়ে আমরা অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছি, প্রধানমন্ত্রী সামারি অনুমোদন দিয়েছেন। আপনি একটু বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়েল সঙ্গে আলাপ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব..., ট্যারিফ নিয়ে আটকে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।