ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় মহসেন জুট মিলের শ্রমিকদের পদযাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
খুলনায় মহসেন জুট মিলের শ্রমিকদের পদযাত্রা পদযাত্রা/ ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গণ মিছিল ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন মহসেন জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন মহসেন জুট মিলের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়।

পদযাত্রাটি সোনালি জুট মিলের সামনে পথ সভা করে। এরপর খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ী গেটের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে জনতা মার্কেটের সামনে পথসভা করে।

এসময় খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এবং আন্দোলনরত বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাসহ শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। শ্রম পরিচালকের এ আশ্বাসে শ্রমিকরা কর্মসূচি শেষ করেন দুপুর ১টার দিকে।

ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ও সোনালি জুট মিল সিবিএ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারের সন্তান সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও মহসেন জুট মিলের সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক খান গোলাম  রসুল, ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও এ্যাজাক্স জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা ও ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত মুন্সি প্রমুখ।

মহসেন জুট মিলের ৩৪৭ জন শ্রমিক ও ৫০ জন কর্মচারীর মোট পাওনা ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে মিলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়। এর আগে, ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই এক দাপ্তরিক আদেশের মাধ্যমে মিলটি লে-অফ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ, লে-অফ বেনিফিট, গ্র্যাচুইটির পাওনাদি পরিশোধের কথা থাকলেও সাত বছরেও তা করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
এমআরএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।