সিরাজগঞ্জ: নিজের পছন্দের দোকান থেকে চশমা না কেনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীকে চেম্বার থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আব্দুল মঈদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আব্দুল মঈদ এমন কাণ্ড করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চর রায়পুর মহল্লা থেকে আসা আমিনা বেগম নামে এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, আমার চোখের চিকিৎসার জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) ডা. আব্দুল মঈদের কাছে এসেছিলাম। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চশমা ব্যবহারের কথা বলেন এবং নিউ চশমা ঘর নামে একটি দোকানের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে সেখান থেকে চশমা নিতে বলেন। কিন্তু আমি আমার পরিচিত অন্য একটি দোকান থেকে চশমা কিনে বুধবার আবার ডাক্তারের কাছে ফলোআপের জন্য যাই। এ সময় কোন দোকান থেকে চশমা কিনেছি জানতে চাইলে আমি বলি, আমাদের পরিচিত এক দোকান থেকে নিয়েছি। এ কথা শুনেই ডা. আব্দুল মঈদ উত্তেজিত হয়ে আমাকে থাপ্পড় মারতে তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তার সহকারীকে বলেন, এ মহিলাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও এবং চিনে রাখ, এ যেন কোনোদিনও আমার চেম্বারে ঢুকতে না পারে। পরে তার সহকারীরা আমাকে রুম থেকে বের করে দেন। কোনো ডাক্তার রোগীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারেন, তা এ ডাক্তারকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না।
কক্ষের বাইরে সিরিয়ালের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডা. আব্দুল মঈদ একজন ভালো চক্ষু চিকিৎসক হলেও তার আচরণ অত্যন্ত উগ্র। তিনি ব্যবস্থাপত্রে চশমা লিখে দেন এবং তার পছন্দের দোকান থেকে কেনার কথা বলেন। আর তা না কিনলেই তিনি রেগে যান। এর আগেও তিনি রোগীদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছেন।
এদিকে এসব বিষয়ে কথা বলতে ডা. আব্দুল মঈদের চেম্বারে সাংবাদিকরা গেলে তিনি আরও উত্তেজিত হন। তিনি বলেন, আপনারা যা পারেন লেখেন, আপনাদের সঙ্গে কোনো কথা বলব না।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলী বাংলানিউজকে বলেন, যে রোগীর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তাকে কাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
এসআই