মেহেরপুর: টানা আড়াই মাস ধরে পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন গাংনী উপজেলার বামন্দী দাশপাড়া এলাকার প্রায় অর্ধশত পরিবার।
নিজেরা পানি সরানোর চেষ্টা করলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে দীর্ঘ সময় পানিবন্দি থাকায় নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা।
জলাবদ্ধতার কারণে বিশেষ করে বৃদ্ধা-নারী-শিশু, গবাদি পশুর যেন অসুবিধার শেষ নেই। ছোট ছেলে-মেয়েদের চলাফেরা খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাপ ও পানিজাত পোকা ঘরে উঠে আসছে। সবমিলিয়ে মানুষের দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে।
গৃহবধূ রুপালী দাশ বলেন, আড়াই মাস ধরে আমরা পানিবন্দি জীবন যাপন করছি। আমাদের উঠানে এক হাঁটু পানি জমে আছে। ভয়ে ঘরে থাকতে পারছিনা। এলাকার টিউবওয়েলগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির।
বিমল দাশ ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রওশানার খাতুন বলেন, আমরা প্রায় আড়াই মাস ধরে পানিবন্দি জীবন যাপন করলেও এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসনের কেউ খোঁজ নেয়নি। মেম্বরের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা এখন নিজ বাড়ি ঘর ছেড়ে রাস্তার পাশে বসবাস করছি। এমনিতে করোনার কারণে ৪/৫ মাস ঘরে বসে আছি। এরপর আবার পানিবন্দি জীবন। অসহ্য হয়ে উঠেছে এই এলাকার অর্ধশত পরিবারের শতাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা শোচনীয়। জলাবদ্ধ পানির ভেতরে চলাচল করায় অনেকের হাতে পায়ে ঘাঁসহ পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় গৃহবধূ রেসমা রেজা জানান, আর সামান্য পানি জমলেই তাদের ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাবে। ছোট শিশুকে নিয়ে সাপ পোকা মাকড়ের আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছি।
স্থানীয় বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, ওখানকার জলাবদ্ধতা আজীবনের জন্য হয়ে থাকে। ওই এলাকাটি নীচু হওয়ায় এমনটি হচ্ছে। আমি মেম্বরের মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছি। তবে এই মুহূর্তে কোনো কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবেই পানি শুকিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
আরএ