ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সোহাগ হত্যা: মূল ২ আসামি গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
সোহাগ হত্যা: মূল ২ আসামি গ্রেফতার হৃদয় ও মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরখানের রাজবাড়ি এলাকায় কলেজশিক্ষার্থী মো. সোহাগ (২০) হত্যার মূল দুই আসামি মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল (২০) ও হৃদয় (২২) কে গ্রেফতার করেছ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত সোমবার দিনগত রাতে দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দু’জনই উত্তরা এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরখানের রাজাবাড়ি খ্রিস্টানপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় কলেজশিক্ষার্থী সোহাগকে মারধরের এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে কয়েকজন। পরে স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে উত্তরা নর্দান হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গত ২৮ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল, হৃদয়, সাদ (২০), সাব্বির হোসেন (২০) ও সানি (২১) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৃদয়, রাসেলসহ আরো কয়েকজন মিলে কলেজশিক্ষার্থী সোহাগকে মারধর ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে রিকশার চাকা থেকে কাদা ছিটকে গায়ে লাগার মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে। ঘটনাস্থলে রিকশাচালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী সোহাগকে মারধর করে হৃদয়। এতে হাতাহাতির ঘটনায় যুক্ত হয় কাটার রাসেল। মারধরের সময় কাটার রাসেল সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সোহাগকে আঘাত করে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হৃদয় আগে উত্তরা ৮ নম্বর এলাকায় (আব্দুল্লাহপুর) বসবাস করতো। সেখানে হৃদয় কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যৃক্ত ছিল। গত তিন থেকে চার বছর যাবৎ হৃদয়ের পরিবার উত্তরখান এলাকায় বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করে। তবে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় হৃদয়ের উশৃঙ্খলপনার কারণে তার পরিবারকে ওই এলাকা ছাড়তে হয়েছিল। এরপরও তার উশৃঙ্খলপনা দমে যায়নি। এদিকে মাহবুবুল ইসলাম রাসেল সবসময় সঙ্গে একটি ছুরি রাখে বলে সবাই তাকে কাটার রাসেল বলে ডাকে। সেও কিশোর গ্যাংয়ের একজন সদস্য।    

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
এসজেএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।