ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কী কারণে ধরা হলো আর ছাড়া হলো বুঝিনি: নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
কী কারণে ধরা হলো আর ছাড়া হলো বুঝিনি: নুর

ঢাকা: রাজধানীর মৎস্যভবন এলাকা থেকে আটকের পর মুচলেকায় মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। ছাড়া পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেন, আমরা বুঝিনি কী কারণে আমাদের ধরে আনা হলো আর কী কারণে ছাড়া হলো।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে নুরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

আটকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নুরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হলেও পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা শেষে তাকে আবারো নিয়ে যান ডিবি পুলিশের সদস্যরা। পরে রাত পৌনে ১ টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে নুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, নুরসহ আটক সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নুরের বড়ভাই নুরজামান বাংলানিউজকে বলেন, ডিবি অফিস থেকে নুরকে উত্তর বাড্ডার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। শরীরের অবস্থা বেশি ভালো নয়। প্রয়োজন মনে হলে তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে, রাতে ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। মারধরের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন। পরে মুচলেকা নিয়ে আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানিনা কেন গ্রেফতার করা হলো আর কেন ছাড়া হলো।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো অঙ্গের সঙ্গে কারো মিল নাই, কাজে-কর্মে মিল নাই। এ কারণে একজনে মারে, একজনে গ্রেফতার করে, আর আরেকজনে ছাড়ে, এটাই চলছে।

এই যে আজ আমরা মার খেলাম, আমরা তো কোন অপরাধী না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা শেষ করে আসছিলাম। কিন্তু কোনোরকম উস্কানি ছাড়াই পুলিশ আক্রমণ করলো। আসলে আমরা বুঝি নাই, কী কারণে আমাদের ধরে আনা হলো, আর কী কারণে ছাড়া হলো।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। মামলায় এক জনের (হাসান আল-মামুন) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হলেও ভিপি নুরসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল-মামুন (১৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (১৮), সাইফুল ইসলাম (১৮), নাজমুল হুদা (২৫) ও আব্দুল্লাহ হিল কাফি (২৩)।

আরও পড়ুন>>ঢামেকে চিকিৎসা শেষে পুলিশ নিয়ে গেল নুরকে

>> নুরের এক্স-রে রিপোর্ট সব ভালো

>>গ্রেফতারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হলো নুরকে

>>বিক্ষোভ মিছিল থেকে সাবেক ভিপি নুর গ্রেফতার

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
পিএম/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।