ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শিশুর কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শিশুর কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ

রাজশাহী: রাজশাহীতে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শিশুর কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। টিউমারের অস্ত্রোপচারের সময় কাউকে না জানিয়ে কিডনি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

 

এ ঘটনায় শিশুর বাবা সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) নগরীর রাজপাড়া থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।  

ভুক্তভোগী শিশু অনুর বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড়শিমলা গ্রামে। তার বাবার নাম উজ্জ্বল। অন্যদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত ১৩ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় বেসরকারি রয়্যাল হাসপাতালে তিনি অনুর পেটে অস্ত্রোপচার করেন।

ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের অভিযোগ, অনু জন্মের পর থেকেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার পেট ছিলো অস্বাভাবিক বড়। অনুকে ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তিনি পেটে টিউমার রয়েছে জানিয়ে অস্ত্রোপচার করতে বলেন। গত ১৪ এপ্রিল নগরীর রয়্যাল হাসপাতালে অনুর পেটে অস্ত্রোপচার করেন ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। ১৭ এপ্রিল অনুকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ।

বাড়ি যাওয়ার পর অনুর শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে গেলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুর ক্যান্সার হয়েছে বলে জানান। পরে অনুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হলে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা তার একটি কিডনি নেই বলে জানান।  

অনুর বাবা উজ্জ্বল বাংলানিউজকে বলেন, পেটের অস্ত্রোপচারের আগে যে সমস্ত ডায়াগনষ্টিক রিপোর্ট আছে, সেখানে অনুর দু'টি কিডনিই আছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর যে রিপোর্ট তাতে তার একটি কিডনি দেখা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, অনু কিডনিতে টিউমার বা ক্যান্সার আক্রান্ত এমন কোন বিষয় অস্ত্রোপচারের আগে আমাদের জানানো হয়নি। না জানিয়েই কিডনি কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসকের কাছে গেলে ক্যান্সারের বিষয়টি জানানো হয়।

অস্ত্রোপচারের সময় কিডনি ফেলে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, টিউমার ছিলো কিডনিতে। সেটা ক্যান্সার। সে কারণেই ফেলে দেয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির অভিভাবক যারা ছিলেন তাদের বিষয়টি জানিয়ে অনুমতি নেয়া হয়েছে। তবে ওই সময় শিশুর বাবা উজ্জ্বল হাসপাতালে ছিলেন না।

নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারীকে রোগীর সমস্ত রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
এসএস/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।