ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ভোলায় নদ-নদীর পানি বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত

ভোলা: উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে উপকূলের নিচু এলাকা।

পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

সোমবার (২১ সেপ্টম্বর) দুপুর থেকে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে তৃতীয় দিনের মতো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কলাতলীর চর, চর যতিন, সোনার চর, চর পাতিলা, ঢালচর, রামদাসপুর, মদনপুর, মাঝের চর, গঙ্গাকীর্তি, বলরাম শুরা, চর জহিরুল উদ্দিন, কচুয়াখালীর চরসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০ এলাকার মানুষ।  

একদিকে বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন উপকূলের বাসিন্দারা। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রাস্তা-ঘাট, পুকুর-ঘের, ফসলি জমি ও বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পানিবন্দি মানুষজন। প্রতিদিন দুই বার করে পানি উঠে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।

মদনপুর এলাকার বাসিন্দা লুৎফর পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। মানুষের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, তলিয়ে গেছে ফসল। দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পানিবন্দি মানুষজন।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌলশী মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানির ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে। এতে বাঁধের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থা আরও দু’দিন থাকতে পারে।

জানা গেছে, গত দু’দিন মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এ নিয়ে টানা তিনদিন প্লাবিত হলো উপকূল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ