ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তাহিরপুরে সংঘর্ষ, নগদ টাকা লুটপাট ও আহত ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
তাহিরপুরে সংঘর্ষ, নগদ টাকা লুটপাট ও আহত ৩ তাহিরপুরে সংঘর্ষ, নগদ টাকা লুটপাট ও আহত ৩

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে টাকা লুটপাট ও হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।  

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাদাঘাট (উ.)  ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- মুজিবুর রহমান (৫৭), তার ছেলে রেজওয়ান মিয়া (২৪) ও রেজওয়ানের চাচী কুলসুমা খাতুন (৩৬)।

আহতদের মধ্যে মজিবুর ও কুলসুমাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গুরুতর আহত রেজওয়ানকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার এই ঘটনায় মজিবুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতে রহমতপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন (৪৫) ও তার ভাই তৌফিক মিয়া (৪০), কামরুল ইসলাম (৩৮) এস ভি জামান (৩৬) আল আমিনসহ (৩২) ১৪ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রহমতপুর গ্রামের জামে মসজিদের ইমামকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের বিরোধ চলছিল।
 
শনিবার বিকেলে মুজিবুরের বাড়ির সামনের একটি বন্ধকি জমি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আবার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও তার আত্মীয়  স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুজিবুরের বাড়িতে হামলা করে।

হামলায় মুজিবুরের বাড়ির সামনে থাকা তার মুদি মালের দোকান ঘর ভাংচুর এবং লুটপাট করে দোকানে থাকা প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামালসহ নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে রহমতপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে দোকান মালিক মুজিবুর, তার ছেলে রেজওয়ান ও কুলসুমা খাতুনকে মারধর করে আহত করে।  

এ ব্যাপারে মুজিবুরের ছেলে তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমার বাড়ির সামনের মসজিদের ইমামকে কেন্দ্র করে গত ঈদে বিরোধ হয়েছিল। আর এর জের ধরে গতকাল ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে আমার দোকান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আর হামলায় আমার ভাই, ভাতিজা ও ভাবীকে মারপিট করে আহত করে এবং আমাকেও প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে সে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।  

তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।