ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রেমে বিরোধের জেরে দুই বোনকে হত্যা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
প্রেমে বিরোধের জেরে দুই বোনকে হত্যা  সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: প্রেমে বিরোধের জেরে রংপুরের গনেশপুরে প্রেমিকা ও তার ছোট বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায় প্রেমিক রিফাত। পুলিশের অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

 

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুর মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু মারুফ হোসেন এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রংপুরে গনেশপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী দুই বোন আত্মহত্যা করেনি তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে প্রেমের টানে সুমাইয়া আক্তার মীমের কাছে আসে প্রেমিক রিফাত। মীমের চাচা-চাচি বাড়িতে না থাকায় চাচাতো ছোট বোনকে ম্যানেজ করে এক কক্ষে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে রিফাত। পরে অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম করা নিয়ে মীম ও রিফাতের কথা-কাটাকাটি হয়। এতে উত্তেজিত হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রিফাত। হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য মীমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। হত্যার পর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মীমের চাচাতো বোন মাওয়া আপু কোথায় জিজ্ঞেস করলে ফেঁসে যাচ্ছে ভেবে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আয়নার ভাঙা কাঁচ দিয়ে গলায় আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দেয়।  

তিনি আরও বলেন, মীম ও রিফাতের পাঁচ বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি মীম নানাবাড়ি গিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এটি জানতে পেরেই মূলত তাদের মনোমালিন্যের সৃষ্টি  হয়।

এদিকে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের প্রমাণ স্বরূপ অনেকগুলো চিঠি, গিফট, আসামির ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল ফোন ও কয়েক ধরনের সিমকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) উত্তম প্রসাদ পাঠক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে রংপুরের গনেশপুর থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর মীমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রিফাতের সন্ধান পায় পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হয়ে পুলিশ নগরীর মধ্য বাবু খাঁ মহল্লা থেকে রিফাতকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় করা জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মমিনুল ইসলামের দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার বড় বোনের প্রেমিক ও সহপাঠী মাহফুজুর রহমান রিফাত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।