ঢাকা: নারীরা শারীরিক, মানসিক ও যৌন সহিংসতার বেশি শিকার হচ্ছে দরিদ্র পরিবারে। এজন্য ব্যাপক জনসচেতনতা, জোরালো প্রচেষ্টা ও স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন-২০২০’ এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে জানা যায়, পাচারকারীরা উন্নত ও তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় অতিথিকর্মীর প্রবেশে বৈধতার সুযোগ কাজে লাগায়, কেননা হাজারো বাংলাদেশি অনেক বেশি সুযোগের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। তাদের অনেকেই মানবপাচারকারীদের জালে আটকা পড়ে, যারা পরবর্তীকালে অন্য দেশে জোর করে শ্রম অথবা অন্য শোষণমূলক পরিস্থিতির শিকার হয়।
‘শান্তি, মানবাধিকার, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ছাড়া টেকসই উন্নয়নের কথা চিন্তা করা অসম্ভব। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার বিধ্বংসী প্রভাব রয়েছে। যৌন সহিংসতা, অপরাধ, শোষণ ও নির্যাতন অহরহ ঘটে। ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের রক্ষায় কাজ করছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রসার ঘটানো গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানে সব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ মজবুত করাও জরুরি। চলতি বছরের জুনে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জিইডি।
জিইডির প্রকাশিত ২০১৮ সালের এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থায়ন কৌশলে এসডিজি-১৬ অর্জনে বাড়তি বিনিয়োগের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রয়োজন ধরা হয় ১০৮ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৭৮ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৯-৩০ অর্থবছরে ২৩৩ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। এই বাড়তি খরচের ৮০ শতাংশ সরকারি উৎস এবং ২০ শতাংশ বাইরের উৎস থেকে আসার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এমআইএস/এএ